বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছাত্রদল নেতার গুদামে সাড়ে ১৭ লাখ টাকার ভারতীয় কম্বল-সিগারেট যে ১২ নির্দেশনা দিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল কাদের আসেন, আমার বাসায় আসেন: মির্জা ফখরুল পিআইবির মহাপরিচালক হলেন ফারুক ওয়াসিফ চাকরির বয়সসীমা ৩৫ চান প্রশাসন ক্যাডাররা, জনপ্রশাসনকে জানাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বন্যা দেখতে গিয়ে নদীতে পড়ে গেলেন দুই এমপি ফ্যাসিবাদে জড়িত কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের আইনের আওতায় আনা হবে গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ইসলাম সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল পাবে জনগণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা সরকারকে সময় দিতে চাই : মির্জা ফখরুল
যেভাবে পুলিশের গুলির সামনে বুক এগিয়ে দিয়েছিলেন সাঈদ

যেভাবে পুলিশের গুলির সামনে বুক এগিয়ে দিয়েছিলেন সাঈদ

স্বদেশ ডেস্ক:

শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত অবস্থায় মাত্র ২২ বছর বয়েসেই প্রাণ হারিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের এই শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন।

গত মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আহত হন আবু সাঈদ। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে আবু সাঈদের আহত হওয়ার পুরো দৃশ্য একাধিক গণমাধ্যম ধারণ করেছে। ভিডিও প্রচার করেছে বিভিন্ন মিডিয়া। এছাড়া ব্যক্তিগত ক্যামেরায়ও ভিডিও ধারণ করে কেউ কেউ তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এসব ভিডিও থেকে আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার একটি স্পষ্ট চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।

সংঘর্ষের সময়ে আন্দোলনকারীদের সবার থেকে প্রথমভাগে অবস্থান করছিলেন আবু সাঈদ। তার ঠিক সামনেই পুলিশ বাহিনী অবস্থান নিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বরাবর বেশ কয়েকজন পুলিশ অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের গুলিতেই গুরুতর আহত হন সাঈদ।

ঠিক এভাবেই পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সাঈদ।

উল্টো দিক থেকে বুলেট ছুড়ছিলেন পুলিশের সদস্যরা।

তারপরও অবস্থান থেকে সরেননি আবু সাঈদ, দাঁড়িয়েই ছিলেন, তার হাতে ছিল একটি লাঠি। তিনি সেই লাঠি দিয়ে রাবার বুলেট ঠেকানোর চেষ্টা করছিলেন।

ক্রমাগত বুলেটের মুখে একপর্যায়ে আহত সঈদ রাস্তায় বসে পড়েন।

এ সময় আন্দোলনকারী একজন দৌঁড়ে আসেন এবং গুলি লেগেছে জানিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

এরপর আরও কয়েকজন এসে তাকে নিয়ে যান হাসপাতালে।

নিহত আবু সাঈদের বন্ধু অঞ্জন রায় গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘শরীরে একের পর রাবার বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবু সাঈদ। তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এ সময় সংঘর্ষ চলছিল। তাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান হৃদয় রঞ্জন রায় বলেন, ‘মেডিকেলের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তির আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরের একাধিক স্থানে রাবার বুলেটের ক্ষত রয়েছে। নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। কিন্তু রাবার বুলেটের আঘাতে মারা গেছেন কি না, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।‘

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877